স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং যেভাবে জন্ম নিয়েছিল তা জানতে হলে আপাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৭১ সালে । যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখেছে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এবং যেভাবে জন্ম নিয়েছিল তার ইতিহাসঃ
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে দেশের সকল রেডিও স্টেশন পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
আওয়ামীলীগ এর অবদানঃ
চট্টগ্রামের কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার উদ্যোগে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র হতে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট প্রেরণ কেন্দ্র কে অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। কালুরঘাট ইমার্জেন্সি স্টুডিও ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাই ব্যবহার করে। এই কেন্দ্র থেকে আওয়ামীলীগের নেতা এম এ হান্নানসহ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি আবার পাঠ করেন।
স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রঃ
এই অস্থায়ী বেতার কেন্দ্রের নাম দেওয়া হয় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র। ২৮ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান এর অনুরোধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র হতে বিপ্লবী অংশটুকু বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
মেজর জিয়াউর রহমান এর অবদানঃ
২৭ মার্চ বেতারের নিরাপত্তার জন্য মেজর জিয়ার সাহায্য চাওয়া হয়। তিনি ব্যবস্থা নেন। এবংতিনটি লরি ভর্তি সিপাহি বেতার কেন্দ্রে প্রেরণ করেছিল। কয়েকজন ক্যাপ্টেনকে নিয়ে মেজর জিয়া নিজেও যাত্রা করেছিলেন। এবং ২৭ মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সময়োপযোগী স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
৩০শে মার্চ হানাদার বাহিনীর বোমা হামলায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নিরব হয়ে যায় । এর কিছুদিন পর আগরতলা হতে এবং ২৫ মে কলকাতার বালিগঞ্জ বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত সম্প্রচার শুরু করে।
অনুষ্ঠান মালাঃ
স্বাধীন বাংলা বেতারের অত্যন্ত জনপ্রিয় দুটি অংশে অনুষ্ঠান ছিল “চরমপত্র” এবং “জল্লাদের দরবার” ।
জল্লাদের দরবার অনুষ্ঠানে জেনারেল ইয়াহিয়ার অমানবিক চরিত্র ও পাশবিক আচরণ কে “কেল্লা ফতেহ খান” চরিত্রের মাধ্যমে চিত্রায়িত করা হয়।
চরমপত্র সৃষ্টি পরিকল্পনা করেন জাতীয় পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান । এবং এটি ঢাকাইয়া ভাষায় স্ক্রিপ্ট লেখা হয় এবং এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন এম আর আখতার মুকুল।