বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে নারী ও শিশু দের অংশগ্রহণ ছিলো অবিশ্বাসনীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসংখ্য নারী ধর্ষিতা হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে। তাদের এই ত্যাগকে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করেন এবং তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তাঁদের কে খেতাবে ভূষিত করেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । তাদের কেও সম্মান সূচক খেতাবে ভুষিত করা হয়
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দুজন মহিলা কে বীরত্বসূচক বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয় তারা হল – ক্যাপ্টেন ডাঃ সেতারা বেগম এবং তারামন বিবি। খেতাববিহীন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সীগঞ্জের খাসিয়া সম্প্রদায়ের কাকন বিবি । তার আসল নাম- কাকাত হেনিঞ্চিন । তিনি “মুক্তিবেটি” নামে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধে পাক সেনাবাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত হয় প্রায় তিন লাখ নারী । তারাও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযাত্রী এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে বীরাঙ্গনা উপাধিতে ভূষিত করা হয় । ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার, প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। বীরাঙ্গনাদের মধ্যে ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রথম প্রকাশ্যে একাত্তরের নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেন । ২০১৬ সালে তাকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দেয়া হয় ।
এদের এদেশে অসংখ্য শিশু কিশোর মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছেন বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু মুক্তিযুদ্ধের সময় অসীমসাহসী এই কিশোর মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল তেরো বছর।
মুক্তিযুদ্ধে নারী ও শিশু কিছু তথ্য –
- বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মহিলার সংখ্যা দুই জন।
- সেতারা বেগম 2 নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন।
- মুক্তিবেটি নামে পরিচিত হলো কাকন বিবি।
- 2015 সালে সর্বপ্রথম বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
- সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার নাম মোঃ শহিদুল ইসলাম লালু।
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম বীর বিক্রম খেতাব ধারি নাম হল উক্যাচিং মারমা ।