বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। তাকে মুক্তিযুদ্ধের সামরিক প্রশাসন এ সর্বাধুনিক করা হয় কারণ তিনি ছিলেন অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি।
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল তৎকালীন সিলেটের (বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার) তালিয়াপাড়ায় পাকিস্তানি সেনা বাহিনী, ইস্ট-পাকিস্তান রাইফেলস, আনসার ও পুলিশ বাহিনীর উচ্চপদস্থ বাঙালি সদস্যরা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাহিনীর বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত আক্রমণের পরিকল্পনা করেন এই সভাতেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাহিনীর সম্পর্কিত ধারণা এবং কমান্ডো কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়ন হয়।
১ – মুক্তিযুদ্ধের সামরিক প্রশাসন মুক্তিবাহিনীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দঃ
- প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী
- সেনাবাহিনীর প্রধান কর্নেল এম এ রব
- বিমান বাহিনীর প্রধান এবং উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার
২ – মুক্তিযুদ্ধের সামরিক প্রশাসন মুক্তিবাহিনী কে তিন ভাগে ভাগ করা করা হয় –
- সেনাবাহিনী
- নৌবাহিনী
- বিমান বাহিনী
২.১ – মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীঃ
মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীকে তিনটি বাহিনীতে বিভক্ত করা হয়। যথাক্রমে-
- নিয়মিত বাহিনী
- অনিয়মিত বাহিনী
- আঞ্চলিক বাহিনী
২.১.১ – নিয়মিত বাহিনীঃ
নিয়মিত বাহিনী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট রেজিমেন্টের ইউনিটগুলো বাঙালি সেনাবাহিনীর সৈনিক সৈনিকদের এই বাহিনী গঠিত হয় । সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম এফ (মুক্তিফৌজ)।
পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশকে চারটি অঞ্চল ঘোষণা করে। ১০-১৭ জুলাই ৭১ মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশকে ১১ টি যুদ্ধের সেক্টর ৬৪ টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ১ জন সেক্টর কমান্ডারের উপর ন্যস্ত করা হয়।
সেক্টর কমান্ড সম্পর্কে জানতে আমাদের এই প্রবন্ধ টি পড়ুন – মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের ১১ সেক্টর
সম্মখ সমরে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত হওয়ার জন্য প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী সেনাবাহিনী( ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) সদস্যদের নিয়ে একটি ব্রিগেড গঠন করেন। যথা-
ফোর্সের নাম | অন্তর্ভুক্ত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট | অধিনায়ক |
---|---|---|
জেড ফোর্স | ১,৩, ৮ | লে কর্নেল জিয়াউর রহমান |
এস ফোর্স | ২,১১ | লে কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ |
কে ফোর্স | ৪, ৯, ১০ | লে কর্নেল খালেদ মোশাররফ |
২.১.২ – অনিয়মিত বাহিনীঃ
এ বাহিনীতে ছিল ছাত্র ও যুবকেরা। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করার জন্য এদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এই বাহিনী সরকারি নামকরণ ছিল “গণবাহিনী” বা এফ এফ (ফ্রিডম ফাইটার্স বা মুক্তিযোদ্ধা)।

২.১.৩ – আঞ্চলিক বাহিনীঃ
অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় কাদেরিয়া বাহিনীর (টাঙ্গাইল), আফসার বাহিনী (ভালুকা ,ময়মনসিংহ), বাতেন বাহিনী( টাঙ্গাইল), হেমায়েতপুর বাহিনী( গোপালগঞ্জ, বরিশাল,) হালিম বাহিনী( মানিকগঞ্জ) । আকবর বাহিনী (মাগুরা) লতিফ মির্জা বাহিনী( সিরাজগঞ্জ, পাবনা) ,জিয়া বাহিনী ( সুন্দরবন) প্রভৃতি।
ভারতে আদালত ভাবে গঠিত হয় মুজিব বাহিনী বিএলএফ-মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।এছাড়া ছিল ঢাকার গেরিলা দল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত।
এদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন 2 নং সেক্টরের কমান্ডার ও কে ফোর্সের অধিনায়ক খালেদ মোশাররফ।ঢাকা শহরের বড় বড় স্থাপনা , বিদ্যুৎকেন্দ্র, হোটেল কন্টিনেন্টাল , ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বিস্ফোরণ ঘটায় ঢাকার গেরিলারা.২৯-৩০ আগস্ট, ১৯৭১ পাক বাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য সুরকার আলতাফ মাহমুদ , শফি ইমাম রুমি,বদিউল আলম ,মাগফার আহমেদ চৌধুর আজাদ , আব্দুল হালিম চৌধুরি জুয়েল এবং আরো অনেকে গ্রেপ্তার করে ফেলে ।এরপর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি।
২.২ – মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীঃ
১৯৭১ সালের জুলাই মাসে ঐতিহাসিক সেক্টর কমান্ডারের কনফারেন্স ঘোষণা মোতাবেক বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ।ভারত থেকে উপহার পাওয়া বিএনএস ‘পদ্মা’ ও বিএনএস ‘পলাশ’ নামের দুটি ছোট টহল গানবোট এবং বাঙালি অফিসার ও নাবিকদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। নৌপথে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে পরিচালিত অভিযানে শুধু একদিনে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ টি এবং মংলা বন্দরে ৫০টি জাহাজ ধ্বংস করে মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডারগন সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেন। ৯ নভেম্বর ,১৯৭১ দেশের প্রথম নৌ বহর ‘বঙ্গবন্ধু নৌবহর’ উদ্ভাবন করা হয়।
২.৩ – মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীঃ
১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। সশস্ত্র বাহিনী গঠনে গোপনীয়তা রক্ষার গুপ্ত নাম হয় ‘কিলো ফ্লাইট’।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিজিত করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন ।
Do you mind if I quote a couple of your posts as long as I provide credit and sources back to your weblog? My blog site is in the exact same niche as yours and my visitors would genuinely benefit from some of the information you present here. Please let me know if this ok with you. Cheers!