নীলফামারী
নীলফামারী

নীলফামারী

নীলফামারী এর পটভূমিঃ 

নীলফামারী জেলা ডোমারের সন্দেশ এর জন্য বিখ্যাত। এই সন্দেশ আমাদের দেশের বাইরেও খ্যাতি অর্জন করেছে। নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় এই সন্দেশ পাওয়া যায়।নীলফামারী একটি প্রাচীন জনপদ। ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন ও প্রাচীনপন্থী থেকে এ অঞ্চলের আদিম জনবসতির অস্তিত্বের কথা জানা যায়। খ্রিস্টপূর্ব নবম শতকে খননকৃত বিরাট রাজার দীর্ঘি অপভ্রংশে বিন্না দিঘী নিলফামারীর প্রাচীন ইতিহাসের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এছাড়াও বিলুপ্তপ্রায় ধর্মপালের গর, হরিশচন্দ্রের পাঠ, ভীমের মায়ের চুলা, ময়নামতি দুর্গা এ জেলার ঐতিহাসিক নিদর্শন। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত নীলফামারী জেলা হিমালয় পর্বত বাহিত পলল দিয়ে গঠিত।

করোতোয়া আত্রাই ও তিস্তা নদীর পলিমাটি এ অঞ্চলের মৃত্তিকা গঠন ও ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করেছে। নীলফামারী ভূপৃষ্ঠকে পাদদেশীয় পাললিক  সমভূমি বলা হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিবর্তনের নিলফামারীর নদীপথ বারংবার গতিপথ পরিবর্তন করে ক্রমশ : উর্বর সমভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। 

বহু ঘটনার প্রাণ কেন্দ্রিক নীলফামারী। কালের পরিক্রমায় যুদ্ধবিগ্রহের মধ্য দিয়ে তারা স্থায়ীভাবে এখানে বসবাস স্থাপন করে। বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নীলফামারীর ইতিহাসে অন্যতম অধ্যায়। প্রত্যেকটি বিদ্রোহ-সংগ্রামে নীলফামারীর লোকজন ছিল প্রতিবাদমুখর।

প্রায় বিশ লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত নীলফামারী জেলা একটি অবহেলিত, দারিদ্রপিড়ীত ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। অসম ভূমি মালিকানা, ভূমিহীনদের সংখ্যাধিক্য, কৃষি নির্ভরতা, শিল্পায়নের অভাব এবং বেকারত্ব এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার মূল কারণ। আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত অনেক সমস্যা থাকা সত্বেও জমির উর্বরতা, তিস্তা ব্যারেজের মাধ্যমে নদীর পানি নিয়ন্ত্রন করে কৃষি কাজে ব্যবহার, জনশক্তির প্রাচুর্য প্রভৃতি কারণে এ অঞ্চল এখনও দেশের অন্যতম খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চল হিসাবে পরিগনিত। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করে জনশক্তির সঠিক ব্যবহার ও শিল্পোন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব।

মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারী ‘ র ভূমিকাঃ

১৯৭১ ইং সনে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বাঙ্গালীদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলেন, গোটা দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তির আন্দোলনে উদ্যোলিত। নীলফামারী একটি মহকুমা শহর, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নীলফামারীর অগণিত ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। মিটিং, মিছিল ও সভা সমাবেশ হতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয় এবং শুরু হয় প্রতিরোধ। মহকুমা শহরে রক্ষিত অস্ত্রাগার হতে অস্ত্র সংগ্রহ করে ট্রেনিং শুরু হয়। নীলফামারী ৬টি থানা নিয়ে একটি মহকুমা শহর।

সৈয়দপুর নীলফামারী মহকুমার অন্তর্গত একটি থানা এবং সিংহ ভাগ অবাঙ্গালীর আবাসস্থল। সেখানে একটি সেনাবাহিনীর বিশাল ক্যান্টনমেন্ট আছে। ২৬ শে মার্চ প্রতিরোধ শুরু হলে অবাঙ্গালীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙ্গালীদের উপর। তারা অগণিত বাঙ্গালীদের হত্যা করে, বাঙ্গালী নিধনের প্রতিবাদে গোটা জেলার মুক্তিকামী মানুষ প্রতিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। প্রতিশোধের তাগিদে বিভিন্ন সীমান্ত থেকে বাঙ্গালী ইপিআর-এর সদস্যরা নীলফামারী শহরে সমবেত হতে থাকে। সংগে যোগ দেয় আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।

৫ই এপ্রিল ইপিআর, আনসার ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ হাজার হাজার জনতা ছুরি,বল্লম,বন্দুক, লাঠি নিয়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট আক্রমনের জন্য এগিয়ে যেতে থাকে। পাক সেনাদের প্রতিরোধ করার জন্য সৈয়দপুর হতে নীলফামারী পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বে বাংকার করে ইপিআর, পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ অপেক্ষা করে। ৭ই এপ্রিল সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাক সেনারা ট্যাংক, কামান ও ভারী অস্ত্র নিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে নীলফামারী শহরের দিকে আসতে থাকে। পাক সেনারা আসার পথে শতশত বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয়। পাকসেনারা নীলফামারী শহরের দিকে আসতে থাকলে প্রতিরোধের বুহ্য ভেঙ্গে গেলে ইপিআর, পুলিশ ও আনসার সহ সাধারণ ছাত্র-জনতা সীমান্তের দিকে সরে যায়।পরবর্তী পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে শস্বস্ত্র ট্রেনিং নেওয়ার পর ৬নং সেক্টরের অধীন পাকসেনাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমন শুরু করে এবং পাক সেনাদের পরাস্ত করতে শুরু করে।

নীলফামারী ৬নং সেক্টরের অধীন ছিল এবং সেক্টর কমান্ডার ছিল জনাব খাদেমুল বাশার। যুদ্ধ ক্ষেত্রে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আহত ও শহীদ হন। নীলফামারী মহকুমার সৈয়দপুর, ডোমার, ডিমলা ও জেলা সদরে অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষকে পাকসেনারা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা পিছু হটতে শুরু করে। ১৩ই ডিসেম্বর পাক সেনারা শহরের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টেন দিকে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং নীলফামারী শহর মুক্ত হয় । ১৩ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও হাজার হাজার জনতা নীলফামারী শহরে আনন্দ মিছিল করে।

অর্থনীতিতে নীলফামারীঃ

অর্থনীতিতে নীলফামারী মূলত একটি কৃষি নির্ভর জেলা। জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল ভুট্টা, ও মরিচ। জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর অববাহিকায় প্রচুর ভুট্টার চাষ হয়।

ভৌগোলিক অবস্থানঃ

নীলফামারী জেলাটি আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এটি রংপুর বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এ জেলাটির আয়তন প্রায় ২৬৪৩.৪ বর্গ কিমি। নীলফামারীর পশ্চিম দিকে অবস্থিত দিনাজপুর জেলা ও পঞ্চগড় জেলা, পূর্বে দিকে রয়েছে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা, দক্ষিনে অবস্থিত রংপুর ও দিনাজপুর জেলা এবং উত্তরে অবস্থিত জলপাইগুড়ি জেলাটি।

নীলফামারী জেলাটির প্রশাসনিক এলাকা বিস্তৃত ৬টি উপজেলার স্বমনয়ে।

এক নজরে নীলফামারীঃ
০১আয়তন  ১৬৪৩.৪০ বর্গ  কিলোমিটার
০২ভৌগলিক অবস্থান২৫৪৪’হতে ২৬১৯’  উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮৪৬’
০৩লোকসংখ্যা                                                                                                                                         ১৯,০৭,৪৯৭ জন।   (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী) পুরুষ   : ৯,৫৯,৮৫৭  জন মহিলা     :   ৯,৪৭,৬৪০  জন
০৪.    জনসংখ্যার ঘনত্ব   প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১২১৫ জন
০৫.    পেশাকৃষক ৪৫.২৮%, কৃষি শ্রমিক ২৭.৮১%, দিনমজুর ০৩.৪২%, ব্যবসায়ী ০৮.৬৫%,  চাকুরীজীবি ০৬.০৭%, অন্যান্য ০৮.৭৭% 
০৬.    ধর্ম  মুসলিম ৮২.৮৪%, হিন্দু ১৭.১৭%, খ্রীষ্টান ০.০৭%, বৌদ্ধ ০.০২%, অন্যান্য ০.১০%      
০৭.    জাতীয় সংসদে আসন সংখ্যা  ০৪ টি
০৮.    উপজেলা     ০৬ টি। (নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার,             ডিমলা,জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ) 
০৯.    পৌরসভা ০৪ টি। (নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, ডোমার, জলঢাকা)  
১০.    ইউনিয়ন   ৬০ টি
১১.     মৌজা     ৩৭০ টি
১২.    গ্রাম     ৩৭৮ টি
১৩.    ভারতের সাথে সীমান্তের দৈর্ঘ্য      ৫০.৯০ কিলোমিটার
১৪.     বি.ও.পি.’র সংখ্যা     ১১ টি
১৫.    মোট জমির পরিমাণ   ১,৫৮,৫৭৭.৭৭ হেক্টর
১৬.    মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১,২৬,১৩৩ হেক্টর
১৭.     সেচকৃত জমির পরিমাণ   ১,১৪,০০০ হেক্টর
১৮.    মোট বনভূমির পরিমান   ১৩৪৬.১৫ একর
১৯.    মোট জলাভূমির পরিমান     ১১০৯.০৩ একর
২০.    শহরাঞ্চলের আয়তন              ৯৬.৫৬১ বর্গ কিলোমিটার (নীলফামারী-২৪.৫০ বর্গ কি:মি:, জলঢাকা-২৮.২২ বর্গ কি:মি, ডোমার-৯.৪২১ বর্গ কি:মি:, সৈয়দপুর-৩৪.৪২ বর্গ কি:মি)
২১.    খাদ্য উদ্বৃত্ত       ২,৮৫,৯০৬ মে. টন
২২.    হাসপাতালের সংখ্যা    ০৯ টি
২৩.    ডায়াবেটিক ক্লিনিক০২ টি
২৪.    মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র   ০২ টি
২৫.    পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র      ৫৫ টি
২৬.    প্রাথমিক বিদ্যালয়  ৯৪০টি।(সরকারি৪৭২টি,বেসরকারি ৪৩৯টি,কমিউনিটি ২৯টি  
২৭.    মাধ্যমিক বিদ্যালয়   ২৯৫ টি। (সরকারি ০৫ টি, বেসরকারি ১৯২টি,                  নিম্নমাধ্যমিক ৯৮ টি) 
২৮.    মহাবিদ্যালয়  ৪৫ টি। (সরকারি ০৪ টি, বেসরকারি ৪১টি )
২৯.    কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  ১৯ টি (সরকারি ২টি, বেসরকারি ১৭টি )
৩০.    পি.টি.আই.     ০১ টি
৩১.    মাদ্রাসা    ১৬৪ টি।(কামিল মাদ্রাসা-০১টি,ফাজিল মাদ্রাসা১৪, আলিম মাদ্রাসা২৪টি দাখিল মাদ্রাসা  ১১৫টি 
৩২.    শিক্ষার হার    ৪৯.৬৯% (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)
৩৩.    পাকা রাস্তা       ৪৭০ কিলোমিটার
৩৪.    কাঁচা রাস্তা         ৩,৫৯২ কিলোমিটার
৩৫.    রেলস্টেশন ০৯ টি।
৩৬.   রেলপথ    ৬৩ কিলোমিটার
৩৭.    রেলওয়ে কারখানা      ০১ টি
৩৮.    বিমান বন্দর      ০১ টি
৩৯.    পাবলিক লাইব্রেরি      ০৬ টি
৪০.    ধর্মীয় উপাসনালয়     মসজিদ২৫১৪ টি, মন্দির ৩৭১ টি, গীর্জা ০২ টি
৪১.     রেজিস্টার্ড এন.জি.ও.     ২৮ টি
৪২.    এতিমখানা           ০৮ টি
৪৩.    ফায়ার সার্ভিস     ০৩ টি
৪৪.     কোল্ড স্টোরেজ            ০৬টি
৪৫.    খাদ্য গুদাম       ৩৪ টি(এল.এস.ডি.৭)
৪৬.    হাট-বাজার                 ৯৮ টি
৪৭.      ডাকঘর  ১০৭  টি
৪৮.    সেনানিবাস  ০১ টি
৪৯.    জেলার দর্শনীয় স্থান নীলসাগর, হরিশচন্দ্রের পাঠ, ধর্মপালের গড়, কুন্দপুকুর মাজার,  ময়নামতির দূর্গ, ভীমের মায়ের চুলা ইত্যাদি   
৫০.    ইউনিয়ন ভূমি অফিস      ৬০টি
৫১.    পৌর ভূমি অফিস   ০৩ টি
৫২.    প্রধান নদ-নদী    তিস্তা, বুড়িতিস্তা, বুড়িখোড়া,চাড়ালকাটা,দেওনাই,বামনডাংগা
৫৩.    তিস্তা প্রকল্পের খালের দৈর্ঘ্য  ১০০৪ কিলোমিটার
৫৪.    আশ্রয়ন প্রকল্প ০৭ টি
৫৫.    আদর্শ গ্রাম  ৪২ টি
৫৬.আশ্রয়ন প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবার  ১০৯০ টি
৫৭.    রেড ক্রিসেন্ট    ০১ টি
৫৮.    শিল্পকলা একাডেমী   ০১ টি
৫৯.    চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি  ০১ টি
নীলফামারী জেলার থানার নাম সমূহ :-

১। নীলফামারী সদর থানা

২। সৈয়দপুর থানা

৩। ডিমলা থানা

৪। ডোমার থানা

৫। জলঢাকা থানা

৬। কিশোরগঞ্জ থানা

তদন্ত কেন্দ্র সমূহঃ-

১। চিলাহাটি পৃুলিশ তদন্ত কেন্দ্র

২। মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র

নীলফামারী জেলার ১০টি বিখ্যাত বা দর্শনীয় স্থান:
  • ময়নামতি দুর্গ
  • ধর্মপালের রাজবাড়ী
  • নীলসাগর
  • স্মৃতি আম্লান
  • হরিশচন্দ্র পাঠ
  • ভীমের মায়ের চুলা
  • নীলফামারী জাদুঘর
  • বাসার গেট
  • কুন্দুপুকুর মাজার
  • চীনা মসজিদ

নদ-নদীঃ

নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে তিস্তা, বুড়িতিস্তা, ইছামতি, যমুনেশ্বরী, ধুম, কুমলাই, চাড়ালকাটা, সর্বমঙ্গলা, সালকী, চিকলি, দেওনাই সহ অনকে নদ-নদী প্রবাহিত হয়েছে। ও গুলির মধ্যে প্রধান নদীগুলো উৎপন্ন হয়েছে হিমালয় এবং আসামের পার্বত্য এলাকা থেকে। প্রধান নদীর শাখা নদীগুলো জালের মতো বিছিয়ে আছে নীলফামারীর বুকে।

Leave a Reply